দেরি করলে ক্ষতি, পাকিস্তানকে বাংলাদেশ

[ad_1]

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। প্রথম আলো ফাইল ছবিনতুন বছর চলে এল, বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের নতুন কোনো খবর আছে কি? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী পুরোনো কথাই নতুন করে বললেন। তবে নিজাম জানিয়ে রাখলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যত দেরিতে সিদ্ধান্ত জানাবে, ততই তাদের ক্ষতি!

বিসিবি এরই মধ্যে পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে রাজি। এই মুহূর্তে কিছুতেই সেখানে গিয়ে টেস্ট খেলবে না বাংলাদেশ। বিসিবির এ সিদ্ধান্তে এখনো ইতিবাচক কোনো সাড়া আসেনি পিসিবির কাছ থেকে। পিসিবির বিলম্বে বিসিবি কিছুটা বিরক্ত। নিজামউদ্দিন বলছেন, পিসিবি যদি আরও দেরি করে সিদ্ধান্ত জানায়, তাতে পাকিস্তানের ক্ষতি বেশি, ‘ওরা কেন রাজি হচ্ছে না (টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে) বা দেরি করছে, ঠিক বুঝতে পারছি না। হয় তাদের বোঝার ভুল, নাহলে আমরা তাদের বোঝাতে পারছি না! তাদের দ্রুত সিরিজটা আয়োজন করা উচিত। নাহলে পরে তো এটাও তারা পাবে না! আমাদের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। ওরা ১৭ জানুয়ারি বললে পরের দিন তো আর দল পাঠানো যাবে না।’

পিসিবি এখনো বিসিবির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। বিসিবি বলছে, দেরি করলে পাকিস্তানেরই ক্ষতি!

এ মুহূর্তে চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি। বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্য সময় জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। সিরিজটা যদি হয়, তৈরি হতে কিছু সময় নেবে বাংলাদেশ। এ সময়ে দল নির্বাচন করা হবে, বিপিএলের পর খেলোয়াড়দের দু-এক দিন বিশ্রাম দেবে, প্রস্তুতির ব্যাপারও আছে। এরপর সিরিজটা খেলতে যাবে। দেরি করে পিসিবি হুট করে সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করলেই যে বিসিবি চট করে রওনা দেবে, সেটির ভাবার সুযোগ নেই।

নিজামউদ্দিন বলছেন, তাঁরাও চান পাকিস্তানে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক। বিসিবির প্রধান নির্বাহী মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিত আয়োজন করতে নির্দিষ্ট কোনো সংস্করণ নয়, যেকোনো সংস্করণ খেলতেই পিসিবির রাজি হয়ে যাওয়া উচিত, ‘তাদের চাওয়া সফরের দুই সংস্করণ ম্যাচ আয়োজন করতে। আমরাও চাইছি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরুক। এখানে টেস্ট কিংবা নির্দিষ্ট সংস্করণের বিষয় নয়। তারা শ্রীলঙ্কা কিংবা আমাদের যা বোঝাচ্ছে, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে তা বোঝাতে পারবে? তারা বলছে ২০২২ সালের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ আয়োজন করবে। ঠিক আছে, আমরাও তখন খেলে আসব।’

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কাল সাংবাদিকদের বলেছেন, পাকিস্তান সফরে আপত্তি নেই তাঁর। অথচ কিছুদিন আগেও শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানে যেতে আগ্রহী নন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচরা। এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলছেন, ‘আমাদের কাজ করতে হচ্ছে সাতজন কোচিং স্টাফ নিয়ে। ডমিঙ্গো তো আর একা দল নিয়ে যাবে না! আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে রেখেছি। জানি কে যাবে আর কে যাবে না। এই মুহূর্তে বিষয়টা আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়।’



[ad_2]

Source from @ www.prothomalo.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *